স্বদেশবিচিত্রা বিনোদন ডেস্ক : বাংলা সিনেমার মিষ্টি মেয়ে কবরীর জন্মদিন আজ। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘সুতরাং’। এই সিনেমায় জরিনা চরিত্র রূপায়ন করেছিলেন কবরী। এই নামটি দিয়েছিলেন কবি সৈয়দ শামসুল হক। আরও একটি নাম প্রস্তাব করেছিলেন তিনি ‘করবী’, তবে করবী নামের বদলে কবরী নামটিই বেশি পছন্দ করেন সুভাস দত্ত। এই নামের ভেতর চাপা পড়ে যায় কবরীর আসল নাম ‘মীনা পাল’।
করবী অভিনীত সিনেমার মধ্যে রয়েছে—দেবদাস, বিনিময়, সারেং বৌ, ময়নামতি, নীল আকাশের নিচে, রংবাজ, তিতাস একটি নদীর নাম, আবির্ভাব, যে আগুনে পুড়ি, কখগঘঙ, আবির্ভাব, সোনালি আকাশ, দর্পচূর্ণ, সুজন সখি, মাসুদ রানা, গুন্ডা, আগন্তুক, কত যে মিনতি, স্মৃতিটুকু থাক, বেঈমান, রং বদলায়, ঢেউয়ের পরে ঢেউ, জলছবি, লালন ফকির, খেলাঘর, বলাকা মন, আমার জন্মভূমি, অঙ্গীকার, অবাক পৃথিবী, মতিমহল, লাভ ইন সিমলা, অনুরোধ, তৃষ্ণা, সাগর ভাসা, ঈমান, আরাধনা, নওজোয়ান, বধূ বিদায়, সোনার তরী, কলমিলতা, দুই জীবন, অপরাজিত নায়ক, দেমাগ, লাল সবুজের পালা, জীবনের গল্প, আমাদের সন্তান। কবরী জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন রাজ্জাক ও ফারুকীর সঙ্গে জুটি বেঁধে।
কবরী অভিনীত সিনেমার জনপ্রিয় কিছু গান
অনেক সাধের ময়না আমার, ফুলের মালা পরিয়ে দিলে, হৈ হৈ রঙ্গিলা, সে যে কেন এলো না, গান হয়ে এলে, মনেরও রঙে রাঙাবো, ওরে নীল দরিয়া, সব সখিরে পার করিতে, গুন না গুন গান গাহিয়া, মোরা আর জনমে হংস মিথুন ছিলাম, আমি তোমার বধূ, পিঞ্জর খুলে দিয়েছি, তুমি আসবে বলে ভালোবাসবে বলে ইত্যাদি।
অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আজীবন সম্মাননা (২০১৩), বাচসাস পুরস্কার, লালন ফকির (১৯৭৩), সুজন সখি (১৯৭৫), দুই জীবন (১৯৮৮), আজীবন সম্মাননা (২০০৯)ইত্যাদি অর্জন করেন। কবরীর জীবনাবসান হয় ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল।
স্বদেশবিচিত্রা/এআর