শুক্রবার, ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বদেশবিচিত্রা প্রতিবেদক : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১০ সে. মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৪৮ সে. মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বাড়ার সাথে সাথে জেলা সদর, কাজিপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনে আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন নদী তীরের বাসিন্দারা। অন্যদিকে, ভাঙনরোধে সদর উপজেলার ছোনগাছাবাসী স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে নদী তীরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

জানা যায়, সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ভাটপিয়ারি ও কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নিশ্চিন্ত পুর, চরগিরিশ, খাসরাজবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার নদীতীরেও দেখা দিয়েছে ভাঙন। ইতোমধ্যে ভাঙ্গনে চরাঞ্চলের আখ, পাট ও বাদামসহ বহু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে জানায় পাউবো।

এছাড়াও পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। অন্যদিকে ‘নদী ভাঙ্গন ঠেকাও, ছোনগাছা ইউনিয়ন বাঁচাও’ শ্লোগানে ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী বাধ নির্মাণের দাবিতে সিরাজগঞ্জ সদরের ছোনগাছা ও খোকশাবাড়ী ইউনিয়নবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামে যমুনা নদীপাড়ে মানববন্ধনে আট গ্রামের কয়েকশ মানুষ অংশ নেন।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ও সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে চরাঞ্চলের নদী তীরের আবাদি জমিগুলোর ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। আর নদীতে পানি বাড়লেও এই মুহূর্তে বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানানিয়েছেন পাউবোর এই কর্মকর্তা।
স্বদেশবিচিত্রা/এআর