শুক্রবার, ১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে পর্যটকদের মানতে হবে বিভিন্ন বিধিনিষেধ

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বদেশবিচিত্রা প্রতিবেদক : জেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরসহ জেলার পর্যটন স্পটগুলোকে ঘিরে ১৪ নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ শনিবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের ফেসবুক পেজে পর্যটকদের জন্য ১৪ নির্দেশনা দিয়ে পোষ্ট দেয়া হয়েছে।

ওই পোষ্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলার তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলার ১০ টি মৌজা জুড়ে ছোট বড় ১০৯ টি বিলের সমন্বয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থান।হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১২ হাজার ৬৫৫.১৪ হেক্টর, যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলভূমি।

পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করে সরকার টাঙ্গুয়ার হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ সংকটাপন্ন বিশেষ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করে রামসার কনভেশনের অধীনে রামসার এলাকা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। সংকটাপন্ন এই হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় পর্যটকদের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।

এজন্য, পর্যটকদের আবশ্যক পালনীয় নির্দেশনা হচ্ছে, উচ্চ শব্দে গান-বাজনা করা বা শোনা যাবে না,হাওরের পানিতে অজৈব বা প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য বা বর্জ্য ফেলা যাবে না,মাছ ধরা, শিকার বা পাখির ডিম সংগ্রহ করা যাবে না,পাখিদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে কোন ধরণের বিঘ্ন ঘটানো যাবে না,ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু বা রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না,গাছ কাটা, গাছের ডাল ভাঙ্গা বা বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যাবে না,কোন জোন বা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না। মানুষ সৃষ্ট জৈব বর্জ্য হাওরে ফেলা যাবে না।

সুনামগঞ্জের পর্যটন স্পটগুলোতে যেসব বিষয় পর্যটকদের করণীয়, জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নৌপথ ব্যবহার করতে হবে,লাইফ জ্যাকেট পরতে হবে,প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করা যাবেনা,দূর থেকে পাখি ও প্রাণী পর্যবেক্ষণ করে ফ্ল্যাশ ছাড়া ছবি তুলতে হবে,স্থানীয় গাইড ও পরিষেবা গ্রহণ করতে হবে,ক্যাম্পফায়ার বা আগুন জ্বালানো থেকে বিরত বিরত থাকাতে হবে।

জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পর্যটকদের প্রতি এ নির্দেশনাগুলো লিফলেট আকারে প্রতিটি নৌকায় সাটানো ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সুনামগঞ্জ সাহেব বাড়ির ঘাটে পর্যটকদের প্রতি এ নির্দেশনা সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগালো ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে সাইনবোর্ড লাগানো হবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিজ নিজ উপজেলার পর্যটন স্পটগুলোতে সাইনবোর্ড লাগানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্বদেশবিচিত্রা/এ্রআর