স্বদেশবিচিত্রা প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্রে তুলা ব্যবহার করে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে কিছুটা শুল্ক ছাড় পাবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ট্রাম্প প্রশাসনের এক নির্বাহী আদেশে এ সুবিধার কথা উল্লেখ রয়েছে, যা মার্কিন তুলা ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তবে এক্ষেত্রে মোট ব্যবহৃত তুলার ২০ শতাংশ বা তার বেশি আমদানি করতে হবে। এই সুযোগকে স্বাগত জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।
আজ শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রাম্প প্রশাসনের ট্যারিফ-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে বিষয়টি পেয়েছি। এরপরই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইউএস প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি, যাতে ইউএস কাস্টমস এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা নেয়। কারণ এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে উৎপাদন খরচ কমবে এবং মার্কিন তুলার দামেও স্বস্তি আসবে।’
বর্তমানে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে তুলা আমদানি করে বাংলাদেশ। বিজিএমইএ সভাপতি জানান,
‘আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির প্রায় ৭৫ শতাংশই তুলাভিত্তিক। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, যদি ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন তুলা বা কাঁচামাল ব্যবহৃত হয়, তাহলে বাড়তি ২০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে না। এটি আমাদের জন্য বড় সুবিধা।’
তবে মাহমুদ হাসান খান সতর্ক করে বলেন, ‘এতে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। কারণ, আদেশে উল্লেখ আছে, কিছু দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। এসব চুক্তি বাস্তবায়িত হলে তাদের শুল্ক আরও কমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে না পড়ি।’
এদিকে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। সে হিসাবে শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে নতুন হার ঘোষণায় করা হয়েছে।
স্বদেশবিচিত্রা/এআর