বৃহস্পতিবার, ১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ কারণে গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় ইসরায়েল

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বদেশবিচিত্রা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাঁচটি লক্ষ্য সামনে রেখে গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে, গাজায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণ পরিকল্পনার প্রতিবাদে ইসরায়েলে হাজারও মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।

নেতানিয়াহু প্রশাসনের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী লক্ষ্যগুলো হলো- হামাসকে নিরস্ত্র করা, সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা, গাজা উপত্যকার সামরিকীকরণ বিলোপ, উপত্যকায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পরিবর্তে ‘বিকল্প বেসামরিক প্রশাসন’ প্রতিষ্ঠা করা।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী গাজা সিটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রস্তুতি নেবে। একই সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকা বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দেবে।

বর্তমানে ইসরায়েলি সেনারা গাজার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আইডিএফ এর নিয়ন্ত্রণ না থাকা বাকি অংশে বসবাস করছে প্রায় ২১ লাখ মানুষ। বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য সংক্রান্ত বিবৃতি প্রকাশ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।

এদিকে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান বাড়ানোর নতুন পরিকল্পনা ঘোষণার পর ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে হাজারো বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে গাজায় আটক ৫০ জন জিম্মির পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। তারা আশঙ্কা করছেন, এই পরিকল্পনা জিম্মিদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াবে।

তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এটি (পরিকল্পনা) জিম্মিদের মুক্ত করতে সাহায্য করবে।’ জিম্মিদের স্বজনদের একটি সংগঠন এক্স-এ লিখেছে, যুদ্ধ সম্প্রসারণ জিম্মি এবং সৈন্যদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াবে। এমনটা হোক কেউ আর তা চায় না।

এদিকে সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার (ইউএনএইচআর) প্রধান ফলকার টুর্ক। সতর্ক করে তিনি বলেছেন, এটি হলে গাজায় আরও প্রাণহানি, বাস্তুচ্যুতি ও অসহনীয় দুর্যোগ নেমে আসবে।

ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন এই সিন্ধান্তকে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। নিন্দা জানিয়েছে মিশর, জর্ডান ও সৌদি আরবসহ কয়েক আরব দেশ।
স্বদেশবিচিত্রা/এআর