স্বদেশবিত্রা আইন আদালত ডেস্ক : নতুন প্রজন্মের স্বপ্নের সঙ্গে বেঈমানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিশোধের আগুনে শুধু আমাদের পুড়ানো হচ্ছে না, পুরা দেশ ধ্বংস হচ্ছে।’
সোমবার (২১ জুলাই) জুলাই আন্দোলনের একটি হত্যাচেষ্টা মামলার তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানির জন্য আনা হলে আদালত অঙ্গনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাকে আদালতের কাঠগড়ায় ওঠানো হয়। তখন তার আইনজীবীরা এগিয়ে যান। এ সময় তিনি নিজ নামে গড়ে তোলা ফুটবল একাডেমি ‘ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির’ খোঁজখবর নেন।
ওই সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির অধিনায়ক সৈকত হেলাল। তার কাছ থেকেই তিনি এই খোঁজ নেন। তাকে আদালতের কাঠগড়ায় খুব হাসিখুশি দেখা যায়।
মাঝে জুলাই আন্দোলনের সময় মুগদার মানিকনগরে আইনজীবী আবদুল বাছেদ শামীমহত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত।তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর নাজমুল হকের আবেদনে ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াক এ আদেশ দেন।
এদিন একই সঙ্গে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ আটজনকে।
তাকে আদালতের কাঠগড়ায় ওঠানোর সময় সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘প্রতিশোধের আগুনে শুধু আমাদের পুড়ানো হচ্ছে না, পুরা দেশ ধ্বংস হচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মের স্বপ্নের সঙ্গে বেঈমানি করা হচ্ছে”। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কোনো অসুবিধা নেই। আমি ভালো আছি।’
শুনানি শেষে আদালত থেকে বের করে হাজতখানায় নেওয়া সময় তিনি আবার বলেন, ‘দেশটা পুড়ায় ফেলছে তারা। দেশটাকে বাঁচান। ভালো থাকেন, দেশটা ভালো থাকুক।’
জুলাই আন্দোলনের মধ্যে গত ১৮ জুলাই বিকেলে মুগদা মানিকনগর বিশ্বরোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন অ্যাডভোকেট আবদুল বাছেদ (শামীম)। এ ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। ব্যারিস্টার সুমন এই মামলার আসামি।
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২১ আক্টোবর ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার হন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা) আসন থেকে সুমন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক বিষয়ে পোস্ট ও লাইভ করে আলোচিত ছিলেন ব্যারিস্টার সুমন।
স্বদেশবিত্রা/এআর