বৃহস্পতিবার, ৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক নেতৃত্বে সৃজনশীল স্বীকৃতি পেলেন দেবাশীষ দাস

নিউজটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক নেতৃত্বে সৃজনশীলতার স্বীকৃতি: দেবাশীষ দাস পেলেন সাউথ এশিয়া স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ দেশের টেলিভিশন গ্রাফিক্স ও ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র দেবাশীষ দাস এবার অর্জন করলেন দক্ষিণ এশিয়া স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫। ‘সৃজনশীল ব্র্যান্ডিংয়ে আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব’ ক্যাটাগরিতে তাঁকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
এই গৌরবময় অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় গতকাল বিকাল ৩টায়, ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ কচি-কাঁচা মিলনায়তনে। আয়োজন করে সাউথ এশিয়া সাহিত্য পরিষদ, যার মূল বার্তা ছিল ‘সাহিত্য হোক সার্বজনীন’। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মোঃ আরাফাতুর রহমান অ্যাপেল, চেয়ারম্যান, ইন্সপিরিয়াম গ্লোবালিটি লিমিটেড, ডিরেক্টর, প্রেসক্লাব ক্লাব লিমিটেড। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন সাউথ এশিয়া সাহিত্য পরিষদ ও সুন্দরবন সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জনাব মোঃ আজগর হোসেন।
অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যেখানে ছিল আবৃত্তি, গান, নাচ, নাটিকা সহ নানা সৃজনশীল আয়োজন। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিল Global Voice 24, যারা অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে ও প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই সম্মাননা প্রাপ্তির মাধ্যমে দেবাশীষ দাস তাঁর পেশাগত জীবনের এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছেন। এর আগে তিনি স্টার বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এ ‘Digital Branding Leader of the Year’ হিসেবে সম্মাননা পান, যা ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং ও প্রোগ্রাম গ্রাফিক্সে তাঁর সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
এছাড়া, ২৬ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত এক্সেলেন্স ইন সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এ তিনি ভূষিত হন ‘সেরা মোশন গ্রাফিক্স আর্টিস্ট (প্রোগ্রাম ব্র্যান্ডিং)’ খেতাবে। সেই অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিরীন শীলা এবং কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান লায়ন মো. মুজিবুর রহমান। উক্ত অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার ছিল একুশে টেলিভিশন।
২০২৪ সালে তিনি পেয়েছেন ‘Best in Brand Communication’ সম্মাননা, যা প্রদান করে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান Laser Treat, ডিজিটাল মিডিয়া ও ব্র্যান্ডিংয়ে দীর্ঘদিনের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ।
দেবাশীষ দাস বর্তমানে মাসরাঙ্গা টেলিভিশনের গ্রাফিক্স বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। তিনি ২০১১ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থেকে দেশের বিভিন্ন প্রোগ্রামের ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটি নির্মাণে এনেছেন বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য। তাঁর কাজের মধ্যে রঙের ভারসাম্য, মুভমেন্ট, সাউন্ড সিনক্রোনাইজেশন এবং টাইপোগ্রাফির নিখুঁত ব্যবহার আজও বাংলাদেশের টেলিভিশন ব্র্যান্ডিংয়ের এক মানদণ্ড।
শুধু ডিজাইনার নন, তিনি একজন প্রশিক্ষকও। তিনি ২০১৮ সাল থেকে পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটে মোশন গ্রাফিক্স ফ্যাকাল্টি হিসেবে এবং ২০২২ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগে গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে শিক্ষাদানে যুক্ত রয়েছেন।
তাঁর ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৭ সালে RTV-তে, এরপর যমুনা টেলিভিশনে কাজ করে ২০০৯–২০১১ পর্যন্ত নতুন ধারার মোশন গ্রাফিক্সের সূচনা করেন। পাশাপাশি, তিনি বাংলাদেশের বই প্রকাশনা শিল্পেও ভূমিকা রেখেছেন, দুই শতাধিক বইয়ের প্রচ্ছদ ডিজাইন করে।
দক্ষিণ এশিয়া স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ নিঃসন্দেহে দেবাশীষ দাসের সৃজনশীল যাত্রার এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।