স্বদেশবিচিত্রা প্রযুক্তি ডেস্ক : ডিজিটাল মাধ্যমে সাইবার প্রতারণা এতটাই বেড়ে গেছে যে, ম্যালওয়্যার নিয়ে বারবারই সতর্ক করছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ। কেউ আপনার ফোনে গোপনে নজরদারি চালাচ্ছে কিনা, তা জানতেও পারছেন না। গুগল প্লে স্টোর থেকে নানা রকম অ্যাপ ইনস্টল করা হয়। এর মধ্যেই এমন কিছু অ্যাপ থাকে, যা ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে রাখেন প্রতারকরা। আপনার অজান্তেই সেসব অ্যাপের মাধ্যমে ভুয়া সফটওয়্যার আপনার ফোনে ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। আর যদি একবার হয়, তবে আপনার ব্যক্তিগত সব তথ্য নিমেষেই চলে যেতে পারে হ্যাকারদের কাছে।
আপনি যদি অজানা কোনো লিঙ্ক খুলে থাকেন কিংবা কিউআর কোড স্ক্যান করার সময়েও এ ধরনের স্পাই অ্যাপ ফোনে ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে এ অ্যাপগুলো ফোনে থাকলে, তার থেকে আপনার বিপদ ঘটতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে— এ ধরনের অ্যাপ যদি আপনার মোবাইলে এসে থাকে, তাহলে বুঝবেন কীভাবে?
চলুন জেনে নেওয়া যাক, স্পাই অ্যাপ ইনস্টল হয়নি তা বুঝবেন কীভাবে—
১. আপনার ফোনের ব্যাটারি যদি খুব দ্রুত খরচ হয়ে যেতে থাকে, তাহলে সাবধান। কারণ স্পাই অ্যাপ গোপনে ডেটা সংগ্রহ করতে থাকলে এমন হয়ে থাকে।
২. আপনার ফোন ব্যবহার না করা সত্ত্বেও যদি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়, তাহলে সাবধান। এর অর্থ হলো— ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো প্রোগ্রাম চলছে।
৩. আপনার ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার যদি অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যায়, তাহলে স্পাই অ্যাপের কারণে হতে পারে। এই অ্যাপগুলো আপনার তথ্য হ্যাকারদের কাছে পাঠাতে ডেটা ব্যবহার করে।
৪. আপনার ফোনকলের সময় যদি কোনো ক্লিক শব্দ, প্রতিধ্বনি কিংবা অস্বাভাবিক আওয়াজ শোনা যায়, তবে তা আপনার কল রেকর্ড বা ট্যাপ হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
৫. এ ছাড়া আপনি ইনস্টল করেননি, এমন কোনো অ্যাপ যদি আপনার ফোনে দেখতে পান, তাহলে ব্রাউজ করার সময় বারবার অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন দেখালে বুঝতে হবে, আপনার ফোনে ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রবেশ করেছে।
৬. আপনার ফোন যদি বারবার নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায় কিংবা ফোনের সিস্টেম ধীরগতি হয়ে যায়, তাহলে সাবধান থাকতে হবে।
এখন স্পাই অ্যাপ কীভাবে ধরবেন—
প্রথমেই গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে আপনার প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন এবং ‘প্লে প্রোটেক্ট’ অপশনে ক্লিক করুন। এতে ফোনে কোনো স্পাই অ্যাপ আছে কিনা, তা দেখাবে।
আপনার ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাপ ও সেখান থেকে অ্যাপ্লিকেশন ম্যানেজারে গিয়ে অ্যাপের তালিকা পরীক্ষা করুন। অদ্ভুত নামের কোনো অ্যাপ দেখলেই ডিলিট করে দিন।
এ ছাড়া আপনি সেটিংসয়ে গিয়ে প্রাইভেসি ও সেখান থেকে প্রাইভেসি ম্যানেজারে গিয়ে দেখুন— কোন কোন অ্যাপ মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, লোকেশন কিংবা অন্য ডেটা ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। সেই অ্যাপগুলো ফোন থেকে মুছে ফেলুন।
স্বদেশবিচিত্রা/এআর