বৃহস্পতিবার, ২৪শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাকে হাতি, জলহস্তি বলতেন : অরিজিতা

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বদেশবিচিত্রা বিনোদন ডেস্ক : ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের আলোচিত অভিনেত্রী অরিজিতা মুখার্জি। প্রথম ধারাবাহিক প্রচারের পরই দর্শকের মন কেড়েছিলেন। ‘নিম ফুলের মধু’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ সিরিয়ালে অভিনয়ের পর নতুন রূপে দেখা দিলেন এই অভিনেত্রী।

‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানি’ সিরিয়ালে নাটোরের মেয়ে রূপে ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন অরিজিতা। অনেকটা সময় খল চরিত্রে অভিনয়ের পর প্রথমবার ইতিবাচক ভূমিকায় পর্দায় হাজির হয়েছেন এই অভিনেত্রী।

অরিজিতা মুখার্জির ক্যারিয়ারের বর্তমান যে অবস্থান, তা অনেকটা কাঠখড় পোড়ানোর পর পেয়েছেন। বিশেষ করে চেহারা ও শারীরিক গড়ন নিয়ে কটু মন্তব্য সইতে হয়েছে তাকে। খল চরিত্রে অভিনয় করার কারণে দর্শকরা তাকে ‘হাতি’, ‘জলহস্তি’ বলে মন্তব্য করতেন বলেও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

শুরুতে এসব মন্তব্য নিতে পারতেন না অরিজিতা। এ বিষয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “প্রথমে খারাপ লাগত, মুখের উপর কথা বলে দিতাম। তবে বেশিক্ষণ ঝগড়া করতে পারি না, তাই কেঁদে ফেলতাম। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিরিখে তথাকথিত কিছু মানুষ সহকর্মী হয়েও আমার পাশে দাঁড়াননি। উল্টো আমাকেই তারা বলেছেন, ‘তুমি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দিচ্ছো।”

কেবল দর্শক নয়, শরীরি গড়নের কারণে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পেতে ভীষণ কষ্ট হয়েছে তার। সংশ্লিষ্টরাও বলেছেন— “মোটা, দেখতে ভালো না।” এজন্য তার অনেক কাজ হাতছাড়া হয়েছে। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলেও জানান অরিজিতা।

করোনা সংকটের সময়ের কথা টেনে অরিজিতা বলেন, “অতিমারির পর এমনিতেই সকলের কাজের অভাব। তার উপর এই ঘটনা। গভীর অবসাদে ছিলাম। মনে আছে, টানা ১৮ দিন বিছানা ছেড়ে উঠে আয়নায় নিজের মুখ দেখতে পারিনি। আমি হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম।”

তবে অবসাদ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতেও বেগ পেতে হয়েছে অরিজিতাকে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তার দীর্ঘ দিন সময় লেগেছে। অরিজিতার ভাষায়—“আমি কৃতজ্ঞ, আমার সঙ্গে আমার গুরুরা, মা-বাবা ও বন্ধুরা ছিলেন। সেই সময়ে তো মনোবিদের কাছে গিয়ে কথা বলাও খরচসাপেক্ষ মনে হতো। ভাগ্যিস কিছু মানুষকে পাশে পেয়েছিলাম। ওরাই বলেছিলেন, ‘এসব অহেতুক মন্তব্য। এতে ভেঙে পড়লে তুমি হেরে যাবে। ঘুরে দাঁড়ালেই আসল যুদ্ধ জয় করতে পারবে। ক্রমশ আত্মবিশ্বাস ফিরতে শুরু করে।”
স্বদেশবিচিত্রা/এআর